চকরিয়ায় সাত বছরের শিশু ধর্ষণ, অভিযুক্ত ধর্ষক আটক!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া •


চকরিয়ায় সাত বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মোঃ শামীম নামের এক নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আটক শামীম ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রংমহল এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের পুত্র।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা রিংভং সোয়াজানিয়া এলাকার একটি নুরানি মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটেছে।

বিষয়টি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে অবগত করা হলে তারা মুরব্বিদের নিয়ে বৈঠকে বসে। কিন্তু খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক মোঃ শামিমকে আটক করে। এসময় জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ভিকটিম শিশু ও তার অভিভাবকদের থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মুফিজুর রহমান দাবী, তার অবুঝ শিশুর প্রতি পশুত্ব আচরণকারী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চান তিনি। যে শাস্তি দেখে আর কেউ কারো সাথে এমন জঘন্যতম পশুত্ব কাজ করতে না পারে।

বিষয়টি সম্পর্কে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সরুয়ার আলম জানান, পিতার অভিযোগ পেয়ে আমরা বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করতে মুরব্বিদের নিয়ে বৈঠকে বসি। কিন্তু ঘটনা অত্যন্ত জটিল বুঝতে পেরে আমরা আইনের হাতের ছেড়ে দিয়েছি।
স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মদ রফিক বলেন, রিংভং এলাকার একটি নুরানি মাদ্রাসায় এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ আটক করেছে। আইন’ই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। এরকম কোন ঘটনা আমাকে কেউ জানায় নি।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকের মোহাম্মদ জুবায়ের জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত নুরানি শিক্ষককে আটক করেছে। ভিকটিমের স্বীকারোক্তি ও অন্যান্য আলামতে ধর্ষণের চেষ্টায় তাকে যথেষ্ট নির্যাতন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এ ঘটনায় আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।